বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে এরপরও হতাশাগ্রস্থ না হয়ে রীতিমতো রাজ পথেই লড়ে যাচ্ছে এক দলটি।ভ আন্দিলন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি এবার সমাবেশের মধ্যেই বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মাঝে ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে মা’রা’মারি হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
মারামারি থামাতে গেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর ওপরও চড়াও হন নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন ও সদস্য সচিব এনামুল হক এনাম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীদের পাশে নির্ধারিত স্থানে বিশাল একটি মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন।
কিছুক্ষণ পর রবিউল ইসলাম নয়ন ১৫-২০ নেতাকর্মী নিয়ে সেখানে হাজির হন। কেরানীগঞ্জ দক্ষিণের নেতাকর্মীদের তুলে দিয়ে সেখানে বসতে চান তিনি। একপর্যায়ে কেরানীগঞ্জে এক শ্রমিকের মোবাইল ফোন ভেঙে দেয় নয়ন।
এসময় কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় তাণ্ডব থামাতে গেলে নয়নসহ নেতাকর্মীরা তার ওপর চড়াও হন। এসময় তারা কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীদের মারধর করে। একপর্যায়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীরা নয়নকেও মারধর করে। পরিস্থিতির অবনতি হলে যুবদলের এক কেন্দ্রীয় নেতার হস্তক্ষেপে নয়ন স্থান ত্যাগ করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই মুহুর্তে দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটায়, নিন্দা প্রকাশ করেছেন অনেকই।