ভারতের মতো এতো বড় একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্বেও গাড়ি-বাড়ি ও জাগা-জমি না থাকার বিষয়টি সকলের কাছে অবাক করা হলেও, বাস্তবেই নিজস্ব কোনো বাড়ি-গাড়ি কিনবা জমি নেই নরেন্দ্র মোদির। এমনকি নেই তেমন টাকা-পয়সাও। সম্প্রতি দেশটির এক সংবাদ মাধ্যমে এমন একটি খবর প্রকাশ পাওয়ার মধ্যদিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, নরেন্দ্র মোদির ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সে গতবারের তুলনায় ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা বেড়ে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে তার টাকার হিসাব দেওয়া হয়েছে।
হিসাব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কোনো স্থাবর সম্পত্তি নেই। গুজরাটের গান্ধীনগরে যৌথ মালিকানায় একটি জমি ছিল যার বাজার মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। সেই জমিও মোদি দান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিজের কোনো বাড়ি নেই। তিনি সাত নম্বর রেসকোর্স রোড বা লোকমান্য রোডের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেন। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি। যে বুলেট-প্রুফ গাড়িতে তিনি চালান তাও কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গেলে তাকে একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হবে।
মোদি ব্যাংকে তার টাকা রেখেছেন স্থায়ী আমানত হিসেবে।
সেভিংস অ্যাকাউন্টে প্রতিদিনের খরচ মেটাতে কিছু টাকা আছে। গত বছর তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। মোদি কোনো মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করেননি। বরং তার সাড়ে ৯ লক্ষ টাকার জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেট আছে। তিনি হাতে যে করতিয়ের ঘড়ি কিংবা পায়ে বালি সু পরেন সেগুলি সবই উপহার পাওয়া।
এদিকে তার ইচ্ছা, ভারতের প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেয়ার পর একজন সাধারণ মানুষের মতোই জীবন-যাপন করবেন। মানুষের ভালোবাসা নিয়েইও বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান তিনি।