কামাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার হাবিবপুর নামক এলাকায় বসবাস করেন। তিনি সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মোটর পার্টসের দোকান রয়েছে। কামালের দুটি গাড়ি ছিল কিন্তু সেগুলো বেশ কিছুদিন হলো বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ অফিস হতে তাকে নোটিশে বলা হয় ১৩টি গাড়ী কর পরিশোধের জন্য। তিনি এই নোটিশ পাওয়ার পর হ’তবা/ক হয়ে যান। তিনি নিজেও জানেন না যে তিনি একটি কিংবা দুটি নয় ১৩ টি গাড়ির মালিক। পরে তিনি যখন বুঝতে পারেন, দেখেন প্র/তা’রকের খ’প্পরে পড়েছেন।
ভু’/ক্তভো’গী কামাল হোসেন গতকাল শনিবার (২ অক্টোবর) সোনারগাঁও থা’/নায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
তিনি বলেন, চার বছর আগে যশোর ও টাঙ্গাইল জেলার রেজিস্ট্রেশনে আমার দুটি মিনিবাস ছিল। সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। বর্তমানে আমার কোনো গাড়ি নেই। কিন্তু আমাকে কর অফিসে ডেকে নিয়ে বলা হয় আমার ১৩টি গাড়ির কর প্রদানের জন্য। এ কথা শুনে আমি তো অবাক হয়ে যাই। আমি কীভাবে এত গাড়ির মালিক হয়ে গেলাম। আমার তো এত সামর্থ্য নেই। কিন্তু আমি চারটি ট্রাক, একটি ট্যাংক লরি, চারটি মিনি বাস ও চারটি প্রাইভেটকারের মালিক, যা নিজেও জানি না।
তিনি আরও বলেন, এটা কীভাবে সম্ভব। যাই হোক প্র’/তা’রকদের বিরু’দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন কান্তি ধরের শর’ণাপন্ন হয়েছি। তিনি আমাকে প্রথমে জিডি করার কথা বলেছেন। আমি জিডি করেছি। একই সঙ্গে প্র’/তা’রকদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রতন কান্তি ধর বলেন, কামাল হোসেন আমার কাছে এসেছিলেন। আমার মনে হচ্ছে তিনি প্র’তা’/রকের খ’প্পরে পড়েছেন। এখানে কারও যোগসা’জশ থাকতে পারে। তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা উপ-কর কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের বলা হয়েছে টিআইএন’র বিপরীতে কোনো গাড়ি থাকলে সেগুলোকে নোটিশ করার জন্য। যার নামে গাড়ি ওই মালিক ধরে বিনিয়োগ হিসেবে তার কর নির্ধারণ করতে হবে। যার নামে নিবন্ধন আছে তাকেই প্রমাণ করতে হবে তিনি গাড়ির মালিক কি না। অবশ্যই তার টিআইএন নম্বর কাউকে দিয়েছেন বা কোনোভাবে সহযোগিতা করেছেন।
এ ব্যাপারে যে দা’/য় সেটা তার উপরেই বর্তাবে। আমাদের শুধু কাজ হল এ বিষয়ে মালিকানা ব্যক্তিদেরকে নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া এবং তিনি সেই অনুযায়ী তার অভি’যোগ ব্যাখ্যা করবেন। সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, আমাদের নিকট এই ঘটনার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। যদি কেউ এই ধরনের কোন অভিযোগ নিয়ে আসে, তাহলে সমস্ত নথিপত্র দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তার আগে এ বিষয়ে তেমন কিছু বলা সম্ভব নয়