গত কয়েকদিন ধরে সিনে মহলে দু’টি নাম উঠে এসেছে- জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। শুরু হলো নতুন ছবি ‘ছায়ার বাজ’। এর নায়ক-নায়িকা যেমন দুটি গানে ক্যামেরায় দাঁড়িয়েছেন, শুটিং স্পটে আট দিন কাটিয়েছেন। তাতেই ভেসে আসছে প্রেমের তপ্ত হওয়া। প্রেম করছেন ঢালিউডের মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর জায়েদ খান!
সম্প্রতি ছবিটির শুটিং স্পটে অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর এ তথ্য জানা গেছে। যা বললেন সিনেমার নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবু।
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রোমান্টিক এই ছবির নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক বেশ ভালো। এমনকি রেস্তোরাঁয় একে অপরকে কয়েকবার খাওয়াতেও দেখা গেছে তাদের। শুটিংয়ের বাইরে হাতে হাত রেখে হাঁটতেও দেখা গেছে তাদের।
অন্যদিকে ছবির নৃত্য পরিচালক ও প্রযোজক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী।
তিনি দাবি করেছেন যে মাইকেল সায়ন্থিকাকে কখন নাচ দেখাবেন তা না বলেই তার হাত ধরেছিলেন। তাই প্রযোজক তাকে বাদ দিতে বললেও তা করেননি।
এদিকে প্রেমের কথা জানার পর জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তবে বিষয়টি ‘ভুয়া’ বলে হতাশাজনকভাবে জানান তিনি।
তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি মাইকেল বাবুর বক্তৃতা দেখেছি। তার সব জাল. শিল্পীদের সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। বেশি কিছু না. এই কয়েকদিনে সায়ন্তিকা আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছে।
অভিনেত্রী-নৃত্য পরিচালক-প্রযোজক দ্বন্দ্বে জায়েদ শুরু থেকেই সায়ন্তিকার পক্ষে কথা বলেছেন। নানা অপবাদ ও কটূক্তির বিরুদ্ধে তিনি ঢাল হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছেন।
এ বিষয়ে জায়েদের দাবি, ‘আমি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও ন্যায়ের পক্ষে। তাই আমি সায়ন্তিকার পাশে আছি। মূলত আমি হাটে হাঁড়ি ভেঙেছি; এ কারণে অনেকেই আমাকে নিয়ে কথা বলছেন।
এর আগে জায়েদ দাবি করেছিলেন, ছবির প্রযোজক একজন অপেশাদার। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রোডাকশন বয় ডাকা, মার্কেটিংসহ সব কাজ প্রযোজকই করেন। সকালের নাস্তা হিসেবে ৫ টাকা মূল্যের লেক্সাস বিস্কুট ও কলা দেওয়া হয়। এ কারণে গত কয়েকদিন আগে নিজের পকেট থেকে সায়ন্তিকার খাবারের বিল পরিশোধ করেছেন জায়েদ।
গত ৩০ আগস্ট সায়ন্তিকা ঢাকায় আসেন। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা না করে ৭ সেপ্টেম্বর চলে যান।
সূত্রে জানা গেছে, গান দিয়েই সিনেমার শুরু। নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে প্রথম গানের শুটিং। দ্বিতীয় গানের শুটিং চলাকালীন হঠাৎ ডান্স ডিরেক্টর মাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সায়ন্তিকা। তার দাবি, নৃত্য পরিচালক তাকে অযাচিতভাবে স্পর্শ করেছেন।
প্রযোজক আরও দাবি করেছেন যে সায়ন্তিকা জামাকাপড় কেনেননি এবং অর্থ দিয়েও অপ্রফেশনাল আচরণ করেছিলেন।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন তাজু কামরুল। এতে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা।