Saturday , December 28 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নূরকে ঘুমান্ত অবস্থায় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলেন আহিনা, জানা গেল কারন

নূরকে ঘুমান্ত অবস্থায় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলেন আহিনা, জানা গেল কারন

জীবিকার তাগিদে গত প্রায় ৮ বছর আগে মাগুরা থেকে রাজধানী ঢাকায় এসে গার্মেন্টসে ছোট-খাটো একটি কাজ নেন আলী নূর। তবে গার্মেন্টস থেকে মাস শেষে যা বেতন পেতেন, তা দিয়ে কোনো ভাবে দিন কাটাতে হচ্ছিল তাকে। আর তাই গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে ঢাকায় অটোরিকশা চালানো শুরু করেন নূর। ঢাকায় থাকার সুবাদে ২০১৯ সালে আহিনা খাতুন নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার।

সম্পর্কের গভীর থেকে তারা বিয়ে ছাড়াই স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আশুলিয়ায় একটি বাসা ভাড়া নিতে থাকে। তারা তাদের পরিবারকে না জানিয়ে তিন বছরে পাঁচবার চলে গেছে।

গত ১৪ জুলাই অহিনা খাতুন জানতে পারেন আলী নূর গ্রামে গিয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আলী নূরকে মারার পরিকল্পনা করেন।

পরে গত ৩০ জুলাই আশুলিয়ার জিরাবো নামাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ঘুমন্ত আলী নূরকে নি/র্ম/মভা/বে দুনিয়া থেকে শেষ করে পালিয়ে যায় অহিনা খাতুন। পরে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আলী নূর বিশ্বাসের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামে। চাকরির সন্ধানে ২০১৪ সালে ঢাকায় এসে প্রথমে গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন।

নীলফামারীর একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখা-পড়া করেন আহিনা। পরবর্তীতে দারিদ্র্যের কারনে আর পড়া-শোনা করা হয়নি তার। এরই মধ্যে গত ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তার। এরপর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কোনো ভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছিল তার। পরবর্তীতে ছেলের ভবিষ্যতের কথা ২০১৮ সালে ঢাকায় আসেন আহিনা।

About Rasel Khalifa

Check Also

নথিপত্র গায়েব হচ্ছে সন্দেহে তুলকালাম কাণ্ড, দুইটি ট্রাক আটক

বরিশালের চরবাড়িয়া ইউনিয়নে পুরোনো নথিপত্র গায়েব হওয়ার সন্দেহে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সচিবালয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *