ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষায় যথাযথ পরিশ্রম বা প্রবিধান বাস্তবায়ন করা। নিয়মগুলি মেনে চলতে ব্যর্থ হলে ব্র্যান্ডগুলিকে নিষেধাজ্ঞা এবং জরিমানা দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করবে৷ নিয়ম না মানলে দেওয়া হতে পারে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা।
ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ‘আইন যথাযথভাবে মেনে চলা’ নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজস্ব কার্যালয়ে এক সভার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ-আইবিএফবি। সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এই বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইইউ মিশনের উপ-প্রধান বার্ন্ড স্প্যানিয়ার। আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, আইবিএফবি সহ-সভাপতি এমএস সিদ্দিকী, সংগঠনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবদুল মজিদ। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফেসসহ কয়েকজন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে টেকসই ও দায়িত্বশীল অনুশীলন অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে মনে রাখবেন, এটি একটি একক কাজ নয়। এই প্রক্রিয়াকে সফল করতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বার্ন্ড স্প্যানিয়ার বলেন, ইইউ কিছু বাধ্যতামূলক ডিলিজেন্স আইন বাস্তবায়ন করছে। যথাযথ পরিশ্রমের বাধ্যবাধকতা দুটি উপায়ে বাস্তবায়িত হবে।প্রথমত মানবাধিকার ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থতার শিকার যে কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে ইউরোপীয় আদালতে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে। দ্বিতীয়ত সাপ্লাই চেইনের কেউ নিয়ম ভঙ্গ করছে কিনা তা ইইউ তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষ নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করবে। নিয়মগুলি সঠিকভাবে অনুসরণ করা না হলে, ইইউ কর্তৃপক্ষ যে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে, যা কোম্পানির বৈশ্বিক টার্নওভারের ৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, ক্রেতা দেশের বিভিন্ন আইনের জন্য নির্মাতাদের বিভিন্ন ধরনের অডিট পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। এটি ট্রেডিংয়ের সময় এবং ব্যয়কে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে। এই অপ্রয়োজনীয় অডিট পদ্ধতি একীভূত করা প্রয়োজন।
বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, সব শর্ত পূরণ হলেও পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং যদি সমস্ত সম্মতি শর্ত পূরণ করা হয় তবে ভারী বোঝা বহন ক্ষমতাও দিতে হবে।