বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে থেকে উঠে আসা সকল মেধাবীরা মূলত এই বুয়েটে স্থান পেয়ে থাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য। তবে এই বুয়েটই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে আগামী প্রজন্মের জন্য ভয় । গেল কয়েক বছর ধরে বুয়েটে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনা অন্তত তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্প্রতি বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ফারদিন নূর পরশ চলে গেছে না ফেরার দেশে। আর তার এই প্রয়াণ নিয়ে এখনো শেষ হয়নি আলোচনা সমালোচনা আর জল্পনা। ফারদিন নূর পরশ হ’ত্যা’র ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি আছে। এঘটনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যায় ছায়া তদন্ত করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। খুনের মোটিভ ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে বাহিনীটি।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফারদিন হ”ত্যা”কাণ্ডে’র ‘ডিজিটাল ফুটেজ পেয়েছি। খুনের আগে সে (ফারদিন) যেসব জায়গায় ঘুরে বেড়াত, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরাসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একই উদ্দেশ্যে কাজ করছে। ফারদিনকে ‘হ”ত্যা’র মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে। এ হ”ত্যা’কা’ণ্ডে’র প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে কাজ করছি। ফারদিন’ হ”ত্যা’র তদন্তে আমরা অগ্রগতি করেছি। আমরা প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশ উ’দ্ধার করে নৌ পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ফারদিনের ঘটনার এক ম্যাশ অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো মামলা নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতিতে পৌঁছাতে পারেনি প্রশাসন। তারা বার বার আসার কথা শোনালেও এখনো হয়ে ওঠেনি কোনো কিছু। এ নিয়ে বেশ হতাশ ফারদিনের পরিবার। ফারদিন রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার সাংবাদিক কাজী নুর উদ্দিন রানার ছেলে। তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।ফারদিন হত্যা মামলা বর্তমানে ডিবি তদন্ত করছে।