জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ১৫ বছরের শাসনামলে যারা লুণ্ঠন, হত্যা ও গুম করেছেন, তাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না। তিনি বলেন, “অধ্যাপক গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। দেশপ্রেমিকদের রুখতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বয়ং আল্লাহই তাদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। এ জন্য শুকরিয়া আদায় করা উচিত।”
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) যশোর শহরের চাঁচড়ায় আয়োজিত একটি পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে শিশু, তরুণ ও বৃদ্ধ সবাই অংশ নিয়েছিলেন। তারা মুক্তির জন্য গুলির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা আমাদের জাতীয় বীর। তাদের নিয়ে আমরা গর্বিত।”
গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি কোনো নির্দিষ্ট দল বা ধর্মের আন্দোলন ছিল না। সেই সময় একটি অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঐক্য ধরে রেখেই দেশ গড়তে হবে। কেউ যেন এই ঐক্য বিনষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা জাতপাত ও ধর্মবৈষম্য দেখতে চাই না।”
জামায়াতের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানের পর আমাদের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। আপনারা শান্ত থাকুন, কারও গায়ে হাত তুলবেন না। আমরা আত্মত্যাগ করতে জানি। সবাইকে আবু সাঈদের মতো আত্মত্যাগী হতে হবে।”
পথসভায় ডা. শফিকুর রহমান যশোরে নিহত জামায়াত কর্মী আমিনুল ইসলাম সজলের সন্তানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দেন। এবং বলেন ১৫ বছরের শাসকদের ক্ষমা নয়
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের যশোর জেলা শাখার আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু জাফর, নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সহ-সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুসসহ অন্যান্য নেতারা।
শুক্রবার রাতে তিনি ঝিকরগাছা ও নাভারনে পৃথক দুটি পথসভায় অংশ নেন। শনিবার সাতক্ষীরায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে তার।