গেলো বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবসহ দেশের বেশ কিছু গুরুত্তপূর্ন ব্যক্তিদেড় নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই তালিকায় সবার উপরের নামটি ছিল বর্তমান পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদের। এ দিকে নিষেধজ্ঞা সত্ত্বেও জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন করেন বেনজির আহমেদ। আর সেখানেই উঠেছে এবার বেশ কয়েকটি প্রশ্ন।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ জাতিসংঘে পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে যোগদানের বাইরে জনসভায় অংশ নেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, জনসভায় বেনজিরের উপস্থিতির বিষয়ে তিনি অবগত নন।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান- বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশ প্রধান জনাব বেনজীর আহমেদ শ্রমিক দিবসের ছুটিতে নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের নেশনস পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন যোগদানের জন্য। তিনি ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের দ্বারা আয়োজিত একটি জনসভায় যোগ দিয়ে অধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের জবাব দিতে বলেছেন এবং তিনি দাবি করেছেন ২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে তার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আদায় করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আমি ভাবছি জাতিসংঘ সম্মেলনের নামে নিউইয়র্কের কুইন্সে তিনি জনসভায় যোগ দিতে পারেন কী করে? কারণ আমরা জানতে পেরেছি যে তাকে এখানে শুধু জাতিসংঘের বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হয়েছে? এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “আমি তাৎক্ষণিকভাবে তার (বেনজির আহমেদের) এমন একটি জনসভায় উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না।” কিন্তু আপনার প্রশ্ন থেকে জানতে পারলাম তিনি সেখানে একটি জনসভায় যোগ দিয়েছেন। আমি যোগদানের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না এবং তিনি সেই জনসভায় কী ক্ষমতায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, একটা সময়ে জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগদান বেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল বেনজির আহমেদের জন্য। তবে একেবারেই শেষ মুহূর্তে ভিসা পান তিনি। সেখানে যাওয়ার পরে বেশ কিছু কথা ওঠে তার ভিসা নিয়ে। অনেকেই জানায় তার ভিসার মেয়াদ বেশি নয় দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি শর্ত। তবে বাস্তবতায় দেখা গেছে তিনি এখনো রয়েছেন সেখানেই।