দেশের সমগ্র ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আর এই নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এমনটাই উঠে আসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে। আর কয়েকদিন পর অনুষ্ঠিত হবে ৬ষ্ঠ ধাপের নির্বাচন, আর এই নির্বাচনেও নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এবার এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সংঘটিত সহিংস ঘটনার প্রেক্ষিতে ডাকসুর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গণপরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংঘটিত সহিংস ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি আরো যোগ করে বলেন শুধু ক্ষমতার খায়েশ মেটাবার জন্য বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেক ব্যক্তি প্রয়াত হয়েছেন, সেটাকে কখনো মেনে নিতে পারিনা।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ উদ্যোগে নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালে বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন করেও তথাকথিত জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের কথা বলে পশ্চিমাদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ছিল। এখন পশ্চিমারাও তাদের থেকে সরে যাচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে, এই সরকারই জ’ঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, এরাই সবচেয়ে বড় সাম্প্র’দায়িক।
এ বছরই ক্ষমতাসীন সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজবে জানিয়ে নুর বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এক চিঠির মাধ্যমে করতে চাইলে সেটা বোকামি। সামনে আরও বিপদ আসবে। তাই দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে সরকারকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি প্রয়াত হয়েছেন। সেই সাথে ৩০০ এরও বেশি লোক আহ’ত হয়েছেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে আগামী মাসের মাঝামাঝে সময়ে। এই নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হালিম নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সকল দলের সাথে সংলাপে বসছেন।