মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের আলোচিত একটি শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেলো বছর ধরে।হঠাৎই গেল বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রধান কারন ছিল র্যাবের বিচারবহুর্ভুত সব কর্মকান্ড ঘটানো। সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলেছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
র্যাব দেশের মানুষের আস্থা ও নির্ভরশীলতার জায়গা করে নিয়েছে। এটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে হতাহত প্রশ্নে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান র্যাবের বিদায়ী ডিজি।
তিনি বলেন, আমার দুই বছরের দায়িত্ব পালনকালে মাদক চোরাচালান বন্ধে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। এ সময় ৩৬ হাজার মা’দ’ক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিন হাজার কোটি টাকার মা’দ’ক উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মা’দ’কে’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ। সারা বিশ্ব মা’দ’কে’র বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কারাগারে বন্দিদের বেশির ভাগই মা’দ’ক মামলার আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মা’দকে’র’ বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মা’দ’ক সমস্যা একটি সামাজিক সমস্যা। সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আমার সন্তানের খোঁজখবর নেওয়া আমার দায়িত্ব, আমাদের শিক্ষকের দায়িত্ব আছে, জনপ্রতিনিধিদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা সবাই সেভাবেই কাজ করব। মা’দ’ক চোরাচালান যে নিয়ন্ত্রণে আসছে না তা বলার উপায় নেই। যখনই আমরা তথ্য পাই, আমরা ব্যবস্থা নিই।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “মা’দ’ক অভিযানের সময় আমরা আইন অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব পালন করি। আমরা আইনের বাইরে কিছু প্রয়োগ করি না। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।
প্রসঙ্গত, এ দিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৭ ব্যক্তির নাম নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে র্যাবের বর্তমান ডিজিসহ পুলিশের বর্তমান আইজিপিও রয়েছেন।এখন পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি দেশটি। তবে এ তে খুব বেশি চিন্তিত নয় বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন শুরুতেই।