বাংলাদেশ স্বাধীন এবং গনতান্ত্রিক দেশ। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের গনতন্ত্র নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি দেশে বিচারবহির্ভূত ভাবে বিচারের অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি এই অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু কথা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটা নতুন ঢং। যে কোনো অভিযোগ তথ্যভিত্তিক হওয়া উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক নিখোঁজ হয়। তাদের মতো পরিপক্ক গণতন্ত্রের দেশ থেকে এটা কাম্য নয়। শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ৬ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করা হয়েছে। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্যে, এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের এক ঘটনাকে ঘিরে দেশ জুড়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট গনতান্ত্রিক দেশ গুলোর রাষ্ট্র প্রধানদের নিয়ে এক সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। এই সম্মেলনে নাম নেই বাংলাদেশের। এই নিয়েই দেশ জুড়ে নানা বির্তকেরও সৃষ্টি হয়েছে।