দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। শপথের পরও ইতোমধ্যে পৃথক পৃথক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন মন্ত্রীরা। রোববার থেকে অফিস শুরু করেন তারা।
এদিকে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপির সমমনা দলগুলো এখনো নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে তারা কর্মসূচিও অব্যাহত রাখেন।
অন্যদিকে বিরোধী দলের কর্মসূচি ও আন্তর্জাতিক কোনো চাপকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন না মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের টোকোশোতে অংশ নিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।
এ সময় সাবেক এই সংসদ সদস্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গাজীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আ কে এম মোজাম্মেল হক মন্ত্রিসভার ডাক পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের দেশে কী হবে, তা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। কে কি বলল তা দেখার দরকার নেই।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কি আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে? আমিই তাদের স্যাংশন দিয়ে দেব, তাদের সাথে ব্যবসা করবেন না, সমস্যা কি?
মন্ত্রীর বক্তব্যকে কীভাবে দেখছেন?
জবাবে রনি বলেন, ধন্যবাদ। তিনি সত্য কথা বলেছেন। তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের চরিত্র ফুটে উঠেছে। শুধু তিনি নন, আওয়ামী লীগের অনেকেই চান আমেরিকা একটি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া। এর কারণ হলো আমেরিকায় মধ্যবিত্তদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি পোশাক পরে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ কাপড় বাংলাদেশে থেকে যায়।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মনে করেন, পোশাক রপ্তানি বন্ধ করলে আমেরিকানরা পোশাক কিনতে পারবে না। তারা মনে করেন বাইডেন ট্রাম্পও হয়তো পোশাক পরতে পারবেন না।
‘বাইডেন তখন বাংলাদেশে আসবেন এবং গণভবনে প্রবেশের চেষ্টা করবেন, এমনকি যদি না পারেন; মোজাম্মেল হকের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন। সেটা সম্ভব না হলে আওয়ামী লীগের লোকজন এদেশের অনেক মানুষের সহযোগিতায় মোজাম্মেলকে মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করবে। ‘
তিনি আরও বলেন, আপনি আবারও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে পিটার ডি হাসের চাকরি চলে যাবে।