সম্প্রতিক ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য-র সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোষ্ট ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকের ওই পোষ্টে তিনি যা লিখেছেন তা হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো:-
আমেরিকা ব্যবসায়ীদের উপরে বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ঘোষণা দিলো, তাদের উপরে, যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে। সেইসময়ে যখন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকেরা রাজপথে আন্দোলন করছে আর রক্ত দিচ্ছে ন্যুনতম মজুরির জন্য।
আর সেই বক্তব্যে একজন গার্মেন্টস কর্মীর নাম উল্লেখ করা হলো। সে কল্পনা আকতার, যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস অধিকারকর্মী।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এর চাইতে স্পষ্ট ইশারা আর হয়না।
কাডাল রানী আর তার ল্যান্সপেন্সারেরা কল্পনাও করতে পারতেছে না কী ভয়ানক বাম্বু তারা খাইতে যাচ্ছে। বাঙ্গুল্যান্ডের জিন্দেগীতে রাজনীতি না করা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা পড়িছে বিপদে। এরা ফ্যাসিবাদের বিরোধিতার ক্রেডিটও নিতে চায় আবার ভয়ে থাকে যদি হাসিনা টিকে যায় তাইলে কী বইলা আবার ক্রেডিট নিবে হু হু আমি বলছিলাম না, এরা পারবে না, এইভাবে হয়না। দেখলেন তো?
ক্ষুদ্রকালে আমরা দুইভাগে ভাগ আছিলাম। আবাহনী আর মোহামেডান। আমি ছিলাম আবাহনীর সাপোর্টার। আবাহনী মোহামেডানের খেলা হইলে আমি বাজি ধরতাম মোহামেডানের পক্ষে। বাজিতে হারলেও দু:খ নাই আমার দল তো জিতছে। আর আমার দল হারলেও দু:খ নাই আমি তো বাজিতে জিতছি।
বাঙ্গুল্যান্ডের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দেখলে আমার ক্ষুদ্রকালের কথা মনে হয়। ওরা হাসিনা গেলেও ক্রেডিট নিতে চায় আবার হাসিনা থাকলেও ক্রেডিট নিতে চায়। জিততে চায় দুই দিকেই।
উল্লেখ্য, পিনাকী ভট্টাচার্য একসময় বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়ে ১৮টি বই লিখেছেন। আজ তিনি একজন জনপ্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। ফেসবুকে তার প্রায় পাঁচ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। টুইটারেও সক্রিয় তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাস, সমাজ, চলমান রাজনীতি, মায়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়ন এবং বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে মানবাধিকার বিষয়ে তার অনলাইন লেখাগুলো তরুণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।