নির্বাচনের পর একটি অভিজ্ঞতার কথা শোনা যায় মানুষের নিকট হতে আর সেটা হচ্ছে, নির্বাচিত হওয়ার পর নেতাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু এবার নির্বাচনের পরপরই একজন চেয়ারম্যানের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পর আলোচনায় এলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মাসুদ তালুকদার ৭টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করলেন। টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলাধীন নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি মাত্রা ২ দিনের মধ্যেই নিজস্ব অর্থায়নে লৌহজং নদীর ওপর কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন। গত ২৬ নভেম্বর এ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারান্দিয়া ইউনিয়ন এবং এলেঙ্গা পৌরসভার সীমান্তবর্তী গ্রাম ঘড়িয়া। গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে লৌহজং নদী। নদীর দুই পারে শেরপুর, মিরপুর, ঘড়িয়া, পোষণা, দেউলাবাড়ী, নাগা, তাঁতিহারাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের বাস। যুগের পর যুগ এখানকার মানুষ জীবন ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হয়েছেন। এছাড়া এলাকায় তৈরি হয় বাঁশজাত বিভিন্ন পন্য। এ পথে মালামাল কেনাবেচা ও পরিবহনের করা যেতো না।
নতুন চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বুধবার বিকেলে লৌহজং নদীর উপর ১৩০ ফুট কাঠের সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এক লাখ টাকার সেতুটি নির্মাণে সিংহভাগই দিয়েছেন চেয়ারম্যান। বাকিটুকু বহন করেছে গ্রামবাসী। নাগা গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন আওযামী লীগের সভাপতি হুরমুজ আলী তালুকদার বলেন, মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করলেন নতুন চেয়ারম্যান।
ঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইমান আলী বলেন, “আমরা অনেক সমস্যায় পড়েছিলাম। ভ্যান, রিকশা, অটো নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করা কখনই কোনোভাবে সম্ভবঘতো না। একটি সুন্দর এবং মজবুত কাঠের সেতু পেয়েছি তাই আমাদের সমস্যা আর নেই, আমরা খুবই খুশি।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বলেন, জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে, আমি নির্বাচিত হয়েছি। মানুষের সেবা করার জন্যই এসেছি। সরকারি বরাদ্দ পাবো তার পর এই নদীর ওর সেতুটি নির্মাণ করতে পারবো যেটাতে দীর্ঘ সময় লাগবে। তাই গ্রামবাসীর সাথে আমিও শরীক হয়েছি। আমি আমাকে যারা নির্বাচিত করেছে আমি তাদের ছাড়াও সকল মানুষের সাথে আছি। তাদের কষ্ট লাঘবে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।