মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে ভারতের প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে গেছে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিং-এ সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার একটি তদন্তে জানা গেছে, রাশিয়া এবং চীনের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে আঞ্চলিক শক্তি ভারত। এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
এর জবাবে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি কানাডার তদন্তের বিষয়ে যে রেফারেন্স তুলেছেন, আমার কাছে এ বিষয়ে উত্তর নেই। এর উত্তর কানাডা কর্তৃপক্ষই দিতে পারবে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৃতীয়বারের মতো ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা দেখেছি গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। একই সঙ্গে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
ম্যাথিউ মিলার এই মামলায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার কাছে সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার একটি তদন্তে দেখা গেছে, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ভারতও দেশটির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে।
চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে জাতীয় নির্বাচনে ভারতের পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একপক্ষীয় নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ভারতের সমর্থন দেয়ার কথা গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সমালোচকরা বলছেন, ভারতের এমন সক্রিয় প্রভাববলয়ের কারণে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রচেষ্টা থেকে সরে যায়। এ বিষয়ে আপনার জবাব কি?
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, কানাডার তদন্ত নিয়ে আপনি যা বলেছেন তার কোনো উত্তর আমার কাছে নেই। কানাডা এ বিষয়ে বলতে পারবে। বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলব- যেমনটা আমরা বহুবার বলেছি বাংলাদেশ ও অন্যদের বেলায়, তা হলো শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত। এটি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্যের কেন্দ্রে রয়েছে। গণতান্ত্রিক নীতিকে এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। বাংলাদেশের সকল মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।