নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, সারা বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক, ব্যবসাসহ সবকিছুই থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আনিসুর রহমান বলেন, আর মাত্র ছয় দিন বাকি। সপ্তম দিনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে আমরা আমাদের দৃষ্টিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে পারি না। আমাদের দাবি অনুযায়ী ৮৩৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার নিয়োজিত করেছে। আমরা বলতে চাই যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এ লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা গত ২৮ নভেম্বর থেকে আচরণবিধি কার্যকর করতে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টার শেষ নেই। আমরা সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে মাঠে কাজ করব। তবে অন্য যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় এখন পর্যন্ত সহিংসতা কম হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাও তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। আমরা আত্মতুষ্ট নই। আমরা কম চেয়েছিলাম। এটা সম্ভব হলে জিরো টলারেন্সের সাথে নেওয়া উচিত ছিল।
সারাদেশে দুই হাজারের বেশি প্রার্থী রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসি। যাদের সকলের মানসিকতা ভিন্ন। এলাকাভেদে মানুষের পার্থক্য আছে। কোথাও কোথাও ছোট্ট একটি বিষয়ও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এসব কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে আপনাদের (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের) ভূমিকা পালন করতে হবে বলে আমরা মনে করি। আগামী পাঁচ দিনের জন্য আপনার বাগদান হবে। এই সময়ে, আপনার প্রধান কাজ হবে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করা। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ও পরে ভুয়া খবরও পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিচুর রহমান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।