মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতেও কথা বলেন ম্যাথিউ।
তিনি বিচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা ও আদালতের রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার সহ অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। যে মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন, এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী যে নিন্দার ঝড় উঠেছে তা স্পষ্টতই আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। এর বাইরে যে কোনো কিছু ঘটলে আমরা তার ওপর কড়া নজর রাখব।
এ ছাড়া আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দেওয়া গঠনমূলক পরামর্শ বাংলাদেশ সরকার কতটা গ্রহণ করবে। আর না হলে ধরনের ব্যবস্থা নেবে কি না ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ম্যাথিউ মিলার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি। বিষয়টি অনেকবার স্পষ্ট করা হয়েছে। আগামী নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে সেদিকে আমাদের স্পষ্ট নজর রয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কী ব্যবস্থা নেবে তা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে চান না।
ছুটির মরসুমের প্রায় দুই সপ্তাহ পরে বুধবার যখন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল তখন ম্যাথু মিলার এই প্রতিবেদককে প্রশ্নের জন্য ডেকেছিলেন।