যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইইউ বিশেষজ্ঞ দল। আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরাও ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, তাদের কাছে ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
সোমবার বিকেল ৫টার পর ভোটগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ২৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। পাশ থেকে তাকে একজন বলেন, এই হার ৪০ শতাংশ। তখন সিইসি বলেন, ‘৪০ পার্সেন্ট। তারপরও এটা ড্যাশবোর্ডে শতভাগ তথ্য আসেনি।’
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার ইইউর টেকনিক্যাল টিম এবং আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। তারা মূলত নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। তাদের সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গ্রহণের পরদিন ইসি জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে ভোটের এই হার নিয়ে সন্দেহ ও প্রশ্ন আছে। ভোটের দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সারা দেশে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত গড়ে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দ্বিতীয় দফা ব্রিফিংয়ে সচিব জানান, বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এই হিসাবে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ, সব জায়গার তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভোট গ্রহণ শেষে বিকাল ৫টার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে বলেন, ২৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। পাশ থেকে তাকে একজন বলেন, এই হার ৪০ শতাংশ। তখন সিইসি বলেন, ‘৪০ শতাংশ। তারপরও এটা ড্যাশবোর্ডে শতভাগ তথ্য আসেনি।’ সিইসি বলেন, ৪০ শতাংশ যেটা এসেছে, এখন পর্যন্ত এটা নির্ভরযোগ্য। তবে এটা নিশ্চিত নয়, এটার কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইইউর বিশেষজ্ঞ দল এবং এনডিআই, আইআরআই মূলত ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে এই বিভ্রান্তির বিষয়ে জানতে চেয়েছে। তাদের ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, সব ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর ভোট পড়ার হার জানাতে। ইসির বিশেষ সফটওয়্যারে এ সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলা হয়। কিন্তু সব কর্মকর্তাই এই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেননি। কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে তিন পার্বত্য জেলা সংসদীয় আসন এবং এর বাইরে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের ভোটের হিসাব দিতে পারেননি বা দেননি। এই সংক্রান্ত তথ্য – ডেটা ইইউ, এনডিআই, আইআরআই-এর প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক কর্মকর্তা জানান, ইইউ টিম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। তাদের সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে সরবরাহ করা হবে।