নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের আজ বলেছেন, তাদের নির্বাচনী ট্রেন চলতে শুরু করেছে। কিন্তু তাদের ট্রেনে শুধু আওয়ামী লীগ আর গণবিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মুক্তিকামী জনগণ তাদের কিংস পার্টি, ডামি পার্টি এবং বিভিন্ন দলের অবাঞ্ছিত লোকদের নির্বাচনী ট্রেনে উঠতে দেবে না।
তিনি বলেন, যারা লোভী হয়ে সরকারের কারচুপির নির্বাচনে অংশ নেবে তারাই রাজনীতির আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হবে যাবেন। সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যেই তাদের অসৎ আখ্যা দিয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক শক্তি এবং দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রত্যাশিত অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবর্তে শেখ হাসিনা সরকার ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো ভোট ডাকাতির পথ বেছে নিয়েছে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, জাতিসংঘ, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে যে শেখ হাসিনা সরকার আরেকটি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এ কারণে জাতিসংঘ কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়েছে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলিও আগ্রহ হারিয়েছে। ফ্যা/সিবাদের সহকারী নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল ভোটের রাতে শেখ হাসিনার বাছাই ও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবেন।
রিজভী আরও বলেন, সারা বিশ্ব যখন ভোটাধিকার বঞ্চিতদের সমর্থন করছে, তখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ রাশিয়া, চীন ও ভারতের জনগণ বিনা ভোটে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন। রাশিয়া-চীনে গণতন্ত্র নেই। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ভারত সরকার কিভাবে সরাসরি একটি অগণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রকে সমর্থন করে? তারা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে বললেও তারা আসলে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।