Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময় আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে। তাতে আমা কিছু যায় আসে না। জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি।

বৃহস্পতিবার রাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সম্প্রচারিত লেটস টক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনার ভাষ্যমতে, কখনো ক্ষমতায় যেনতেন ভাবে যেতে কিংবা দেশের স্বার্থ বিক্রি করে, মানবতার সঙ্গে আপস করে ক্ষমতায় আসবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদ গ্যাস। ১৯৯৬ সালে অন্যান্য কোম্পানির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও গ্যাস উত্তোলন করেছিল। কিন্তু তারা গ্যাস বিক্রির কথা বললে আমি আপত্তি জানাই। এর জন্য আমাকে মূল্য দিতে হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত ষ/ড়যন্ত্র এক হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আজ তারা মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি নিজের দেশের দিকে তাকান না। আমি জাতিসংঘে ফিলিস্তিন ইস্যু উত্থাপন করেছি। আমি যখন ইইউতে গিয়েছিলাম, খুব জোরালোভাবে এই প্রশ্নটি তুলেছিলাম- ফিলিস্তিনি শিশু ও নারীদের হ/ত্যা করা হচ্ছে, এখন সবাই চুপ কেন? এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যু/দ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে দুইবার ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমেরিকায় মানুষের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তারা অন্য জায়গায় এসে খবরদারি করে। আমি জানি না কে তাদের এই মোড়লিপনা করতে দিয়েছে। বিষয়টি আমি প্রথমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্থাপন করেছি এবং প্রতিবাদও করেছি। তারা আমাদের শ্রম অধিকারের কথা বলে। সেখানে তাদের শ্রমিকদের ধর্মঘট সবাইকে চাকরি থেকে বের করে দেয়। এটা তাদের কোন ব্যাপার না। কিন্তু অন্যান্য দেশে নাক গলায়। ইরানে শাহ পালভীর পতন হলে তিনি একটি কথা বলেছিলেন- আমেরিকা যার বন্ধু হবে,তার শত্রু লাগে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনে হাজার হাজার তরুণ জীবন দিয়েছে। কত মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে? এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে- তাদের কাছে টাকা নেই, দিতে পারে না, সাহায্য করতে পারে না। তাহলে যু/দ্ধ কেন? কেন তারা এই উসকানি দিল? আমরা রাশিয়ার এই হামলাকে সমর্থন করিনি। জাতিসংঘে, আমরা খুব সাবধানে পদচারণা করি। কারণ আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে অবস্থান করছে, সেই দিকে ফিলিস্তিনি শিশুদের হাসপাতালে বো/মা হামলা করছে। বো/মা হামলা বন্ধ করে বেসামরিক মানুষ হ/ত্যার পরিবর্তে তারা ইসরায়েলকে আরও অ/স্ত্র কেনার জন্য অর্থ দিচ্ছে। উল্টো তারা ইসরায়েলকে অ/স্ত্র কেনার জন্য বেশি অর্থ দিচ্ছে। তাদের মানবাধিকারের সংজ্ঞা আমরা বুঝলাম না। পৃথিবী এটা বুঝতে পারে বলে মনে হয় না। তবে সারা বিশ্ব এ ব্যাপারে সচেতন।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে- বিএনপি ট্রেনে আ/গুন দিয়ে মা ও শিশুকে পু/ড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের মুখ বন্ধ। কিছু বলে না তাই তাদের নিজেদেরকে তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের জন্য মূল্য দিতে হবে। এটাই বাস্তবতা।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *