দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান। ভোটের নামে জালিয়াতি হয়েছে উল্লেখ করার পাশাপাশি বিজেপি দাবি করেছে, জনগণ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। একই প্রেক্ষাপটে গত এক ঘণ্টায় ভোটের হার ২৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে কীভাবে এলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি।
রোববার দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ডামি নির্বাচন ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের মানুষ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এর প্রমাণ সারাদেশে অনেক কেন্দ্রে একটি ভোটও হয়নি। এমনকি ভোটাররাও আসেননি। বিরোধী দল না থাকলেও ভোটের হার বাড়াতে ভোটে কারচুপি করেছে সরকার। এটা প্রমাণ করে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ ভুয়া নির্বাচনের ফাঁদে পা দিয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুল মাহিন খান বলেন, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষ আরেকটি ভোটারবিহীন প্রহসন প্রত্যক্ষ করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। কিন্তু সরকার সব মতামত উপেক্ষা করে ৭ জানুয়ারি মক নির্বাচনের আয়োজন করে।
এর আগে রোববার সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ ২২৪টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এর আগে এনপিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়।