পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিষয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই। আমাদের জনগণ রায় দিয়েছে। আমাদের সপক্ষে যারা এসেছে তারা সবাই বলেছে যে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিদেশি কূটনীতিক, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যারা আমাদের পক্ষে আছেন তারা সবাই নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এর চেয়ে বড় কিছু নেই। এতে আমরা সবাই খুশি। জনগণ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নির্বাচনে গেছে এটা বড় কথা।
এটি তাদের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা অত্যন্ত খুশি যে আমাদের একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং সংঘাতমুক্ত নির্বাচন হয়েছে। জনগণ তাদের রায় দিয়েছে। এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আমাদের আর কিছু লাগবে না।’
আজকের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনেক দিন বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈঠক হয়নি। কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলাম। সবার সঙ্গে দেখা করা এবং আনন্দ করার জন্যই এই অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এটি গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয় এনেছে। এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন সরকারকে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটাস্কি বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষকদের সাথে আলাপ করব। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা হবে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টা বলেন, ‘আমরা মনে করছি এই নির্বাচন নতুন পথ খুলে দেবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা বাড়াতে। বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়ন চলমান থাকবে আশা করি। আর বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে জার্মানি পাশে থাকবে।’
এর আগে প্রায় অর্ধশত বিদেশি কূটনীতিক, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের উপস্থিতিতে নির্বাচন ও দেশীয় রাজনীতি বিষয়ে পারস্পরিক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিক, পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকসহ দেশীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।