৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিক সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে এক যৌথ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে মামলা, গ্রেপ্তার, বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় সাজা প্রদান ও নির্যাতনের মাধ্যমে নির্বাচন এমনকি রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি শুধু তাদের ডামি প্রার্থী ও অনুগত দলগুলোর প্রার্থীরা নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। ফলে বাংলাদেশের নাগরিকরা এই নির্বাচনে সঠিক বিকল্প বেছে নেওয়া থেকে বঞ্চিত হবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নির্ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে দমননীতি অব্যাহত থাকলে সরকারের বৈধতা সংকট অব্যাহত থাকবে। সমাজে ক্ষোভ ও সং”ঘর্ষ বাড়বে এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শক্তি, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ ব্যাহত হবে। এমতাবস্থায় নতুন করে নির্বাচন আয়োজনে পদক্ষেপ নিতে সব দলের অংশগ্রহণ এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানাচ্ছি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে সংবিধানের ১২৩(৩)(খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে এর পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।
“এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে, নতুন তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার বিরোধী দলের সাথে সংলাপ করার, সমঝোতায় পৌঁছাতে, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি বা জামিন দেওয়ার এবং একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পাবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর পারভীন হাসান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, শাহনাজ হুদা ও রোবায়েত ফেরদৌস, সাবেক সচিব সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ, অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ বি এম সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ও কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মণ্ডল, লেখক রেহনুমা আহমেদ, সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক স্বপন আদনান, পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বি ডি রহমতুল্লাহ, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, সাংবাদিক কামাল আহমেদ, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল, ব্যবসায়ী আবদুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তবারক হোসেন, মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ, চট্টগ্রাম) উপাচার্য মুহাম্মদ সিকান্দার খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সুজন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক আখতার কবীর চৌধুরী, ক্লিনিক্যাল নিউরোসায়েন্স সেন্টার ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের পরিচালক নায়লা জামান খান, গবেষক মোবাশ্বের হাসান, মানবাধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ আর রাজী, লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক রোজিনা বেগম।