নির্বাচন নিয়ে চলছে উত্তেজনা সারা দেশব্যাপী। প্রায় শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন কেন্দ্রের বিভিন্ন ধরনের খবর। জিতে যাওয়া প্রার্থীর অভিযোগ না পাওয়া গেলেও হেরে যাওয়া প্রার্থীদের যেন অভিযোগের শেষ নেই। অবশ্য এটাই সাভাবিক। সম্প্রতি নাটোরের একটি কেন্দ্রে হেরে যাওয়া এক আ.লীগ প্রার্থীর অভিযোগ ঐ কেন্দ্রে দায়িত্ত্বরত পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি পুনঃনির্বাচনের দাবিও জানান। নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি শুধু এই দাবিই করেননি করেছেন সহিংসতার অভিযোগও।
জয়ের অভিযোগ, বিএনপি প্রার্থীর সাথে আঁতাত করে লালপুর থানার এসআই হিমাদ্রী হালদার ও এএসআই রানা মিয়া আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। নৌকার ব্যাচ খুলে নিয়েছে এবং বাড়ি বাড়ি ঢুকে তার সমর্থকদের পিটিয়েছে। তাতে রক্ষা পায়নি হিন্দু পুরোহিত নিরেন কর্মকারের বাড়িও।
তবে লালপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ২৮ নভেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জয় বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তা প্রতিহত করলে পরাজিত হয়ে পুলিশের ওপরই ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি।
ওসি ফজলুর রহমান আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রশাসন তৎপর ছিল। নির্বাচনে ঐ ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ রঞ্জু জয়ী হন।
নির্বাচন কেন্দ্রের এমন খবর নতুন কিছু নয়। জয়ের অভিযোগ সত্য নাকি মিথ্যা তার কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি। হয়ত তদন্ত হলে জানা যেত। কিন্তূ কে তদন্ত করবে! অভিযোগ তো তদন্ত যারা করবে সেই পুলিশের উপর। আবার পুলিশকে প্রশ্ন করলে দায়িত্বরত ওসি তা অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ আনে।