ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই পর্যবেক্ষণে আমাদের মৌলিক ধারণা হলো, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বলতে যেটা বোঝায় তা আমরা দেখি নাই।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হয়তো এবারের নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এর মাধ্যমে কারা ক্ষমতায় থাকবে তা নির্ধারণের সুযোগ হবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। আমি মনে করি এই নির্বাচনে জনগণের আস্থা বা ভোটের প্রতি জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার পদে বহাল থাকায় নির্বাচনে দলীয় বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত ভূমিকা পালন করার জন্য। যখন একটি দল ক্ষমতায় নির্বাচিত হয়, সেই দলটি দেশের সরকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। তখন সেই সরকার আর কোনো দলের সরকার থাকে না। কিন্তু সেই সরকারের সরকার প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে প্রতীকী অর্থে হলেও সবার সরকার প্রধান হিসেবে বা সব দলের সরকার হিসেবে নিজেকে তার ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, সংসদের স্পিকারেরও একই অবস্থা। স্পিকার যখন নির্বাচিত হন তখন আর কোনোদলের প্রতিনিধি থাকেন না। তখন তিনি সব এমপির স্পিকার।
প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয় নিশ্চিত হলেই স্বার্থের সংঘাতমুক্ত ভূমিকা অর্জন করা সম্ভব। এই পরামর্শগুলো আজ নতুন নয়… ২০০৮ সালেও আমরা একই পরামর্শ দিয়েছিলাম। সে সময় নির্বাচনের পরও আমরা এই পরামর্শ দিয়েছিলাম, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। তবুও আমরা এই পরামর্শগুলো দিচ্ছি।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অনুশীলনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, নির্বাচনী অখণ্ডতার চর্চা, আইনের শাসন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, তথ্যের অধিকার, তথ্য ও উপাত্ত সুরক্ষা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ , আর্থিক খাতে সুশাসন এবং সরকারী ব্যয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ১২টি পৃথক পয়েন্টে রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।