ঢাকার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে মার্কিন মন্তব্য সম্পর্কে বলেছেনন যে, এটা “আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ”, তবে (তাদের সাথে) সম্পৃক্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটা বোঝানোর চেষ্টা করার জন্য যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই”। জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াশিংটন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা হিসেবে “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন” করার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উইওন নিউজের একটি প্রতিবেদন (নভেম্বর ২৫) তাই বলেছে।
প্রতিবেদনে উইওন নিউজের কূটনৈতিক সংবাদদাতা সিদ্ধান্ত সিবালের কয়েকটি প্রশ্ন এবং মাসুদ বিন মোমেনের জবাবও তুলে ধরা হয়েছে। একটি প্রশ্ন ছিল এমনঃ “আপনাদের নির্বাচন বিষয়ে আমেরিকানদের মন্তব্য সম্পর্কে আপনার কী বলার আছে? ভারতীয়দের সাথে কি কোনো আলাপ হয়েছিল? কারণ, আমরা দেখেছি ভারতও নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে।”
মাসুদ বিন মোমেন উত্তর দিয়ে বলেন, “হ্যাঁ, আমি বলতে চাচ্ছি যে, (ভারতের) পররাষ্ট্র সচিব (বিনয়) কোয়াত্রা টু প্লাস টু ফরম্যাট মিটিংয়ে আগেই উল্লেখ করেছেন, ভারতের অবস্থানটা কী। তিনি আমার কাছে এটি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং নির্বাচনের অবস্থানের প্রশংসা করেছেন। অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী, আমাদের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। সরকারও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ০৭ জানুয়ারী, ২০২৪ তারিখে নির্বাচন নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই মনোনয়ন, প্রার্থী বাছাইয়ের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আশা করি, জনগণের অংশগ্রহণে আমাদের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং আমরা বিদেশী পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাতেও উন্মুক্ত রয়েছি যাতে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন এবং নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তা দেখতে পারেন।”
“আমেরিকার মন্তব্য সম্পর্কে?” জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “আপনি জানেন, প্রতিটি দেশের অধিকার বা বিশেষ অধিকার আছে এবং তারা সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। কিন্তু যদি এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সীমা অতিক্রম করে, তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করবো এবং বোঝানোর চেষ্টা করবো যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই।”