‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টাতে তিন দিনই যথেষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা স্পষ্ট বলেছি শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই, একটাই ধারণা এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের মুক্তি নেই। আওয়ামী লীগ পদহেলিত দলগুলো ছাড়া দেশের আর কোনো দল বলছে না এ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
সরকার দেশকে সং/ঘাতময় পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য বিগত ১৪ ও ১৮ বছরের মতো সং/ঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন করা। একমুখী ভোটার ছাড়া কেউ ভোট দেব না। আর এভাবেই দেখাবে নির্বাচন হয়েছে। এবার সেটা সম্ভব হবে না।
বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপে বসবে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক রয়েছে এবং তারা আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না তা নিয়ে কথা বলছে। দেশে নির্বাচনী পরিবেশ আছে কি না তা দেখতে এসেছেন তারা। আমাদের জনাব খসরো তাদের স্পষ্টভাবে বলেছেন যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ক্ষমতা না দিয়ে দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি একটি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আর কোন আলোচনা হবে না। আর তা হলো, নির্বাচনী সরকার, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যু বা নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের ইস্যু ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হবে না। তবে আমরা নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলছি না। আমরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলছি। নির্বাচনকালীন সরকার বলে আমরা আওয়ামী লীগকে ডাকব নাকি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কথা বললে তাদের সঙ্গে সংলাপে বসব।
আওয়ামী লীগকে স/ন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, তাদের দেহের রসায়নে দুটি জিনিস আছে, একটি স/ন্ত্রাস, অন্যটি দু/র্নীতি। আওয়ামী লীগ কখনোই এ দুটির বাইরে যায় না। আর সেই কারণেই আজ মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করছে। এটি প্রতিদিন আরও তীব্র হচ্ছে। এবং আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ক্ষোভের কারণে খুব শিগগিরই এই সরকার ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।