রংপুরে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা ও প্রভাব কমেছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আওয়ামী লীগের প্রভাব ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুক এবং আমাদের সঙ্গে ভোট করুক। তারপর দেখা যাবে কার কী প্রভাব আছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর মেডিকেল ইস্ট গেট ও ধাপ এলাকায় এক জনসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আমরা রংপুরের ছয়টি আসনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছয়টি আসনেই আমরা জয়ী হব বলে অনেকের আত্মবিশ্বাসী। রংপুরে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা এখনো আগের মতোই আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির কয়েকজন প্রার্থী কিছু জায়গায় তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। তারা কারো দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, অথবা প্রচার পাওয়ার জন্য এটা করছে। এসব ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী।এভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী ট্রেনে উঠেছি। ট্রেন চলছে। আমাদের দল অনেক জায়গায় ভালো করছে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মতবিনিময়কালে তার সঙ্গে ছিলেন মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির নেতা আজমল হোসেন লেবু, আব্দুর রাজ্জাকসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। পরে তিনি নগরীর মেডিকেল পূর্ব গেট থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।