আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিদেশী কূটনীতিকেরা নানা ধরনের বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কিছুটা বেশি সক্রিয়তা দেখিয়ে যাচ্ছিলো। এদিকে বাংলাদেশের বিষয়ে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশে আসছেন ফের যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দুই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আগের বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের শুরু থেকেই সরকার ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করে চলেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাচার এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ঢাকা সফর করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম বিষয়ক ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কারা ম্যাকডোনাল্ড চলতি মাসে ঢাকা আসছেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন-এর আমন্ত্রণে এপ্রিলে ওয়াশিংটনে যেতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে যোগাযোগে কিছুটা শ্লথগতি ছিল। কিন্তু র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর যোগাযোগ অনেক বেড়েছে।
দুই কর্মকর্তার সঙ্গে কী আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেরেক শোলে মূলত মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থীদের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে আসছেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেছেন যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং শ্রম সম্পর্কিত বিষয়গুলি কারা ম্যাকডোনাল্ডের সাথে আলোচনা করা হবে, “এই বিষয়গুলি উভয় পক্ষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এদিকে, ধারনা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ হতে পারে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। তবে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও শ্রম সমস্যা নিয়ে অতীতে যে উদ্বেগ ছিল, সেটা সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির প্রতি ভারসাম্য রক্ষা হিসাবে এই অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়ানোর জন্যও কাজ করছে।