Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচন করে ফেললেও সরকার টিকবে না: ব্যারিস্টার পার্থ

নির্বাচন করে ফেললেও সরকার টিকবে না: ব্যারিস্টার পার্থ

রাজনৈতিক মতবিরোধ ও কোন্দলের মধ্যে বুধবার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপির সমমনা দলগুলো এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে তফসিল জারি হলে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দেশে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে টকশোর আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।

এ সময় ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের দাবি- দেশে তাদের ৩০ শতাংশ ভোট রয়েছে। অথচ তার মধ্যে থেকে ৫ শতাংশও ভোট দিতে আসছে না। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫৩ সেকেন্ডে ৪৭ ভোট দেওয়া হলো, এটি কিন্তু জেতার জন্য দেওয়া হয়নি। এটি মূলত ৩০ শতাংশ ভোট দেখানোর জন্য দিয়েছে। এটি না করলে তো ২ শতাংশ ভোটও পড়ত না।

বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগ একই কাজ করবে। এটি ৪০ শতাংশ বা ৫০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখাবে।

বিজেপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্ন হতে পারে- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ হঠাৎ ইভিএম বাতিল করল কেন? কারণ, আওয়ামী লীগ ইভিএমে ৩০ শতাংশ ভোটও কারচুপি করতে পারেনি। কারণ রাতে সেখানে ব্যালট বাক্স ঢোকানো হয়নি।

বর্তমানে নির্বাচনগুলোতে যখন বিএনপি বা বিরোধী দল থাকবে না, তখন প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট বাক্স এগিয়ে দেবে, আর আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিতে থাকবে। তা ছাড়া তো ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট হবে না।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে পার্থ বলেন, সরকারের একটা কথা মনে রাখা উচিত- গণতন্ত্র হলো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। সরকার যদি মনে করে আমি ক্ষমতা ছাড়ব না? তা হলে এটি কীসের গণতন্ত্র? এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে, বিএনপির ৫ হাজার নেতাকর্মী মারা গেলেও ক্ষমতা ছাড়বে না আওয়ামী লীগ। তারা ১৫ বছর ধরে এমনভাবে চালিয়ে গেছে যে তাদের কখনই ক্ষমতা ছাড়তে হবে না। এখন ক্ষমতা ছাড়ার কথা বললে পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, এ জন্য বারবার তারা বলছে— আমরা নির্বাচন করে ফেলব। আওয়ামী লীগ ভাবছে নির্বাচন করলেই আগামী ৫ বছর স্থায়ী হয়ে যাব। কিন্তু এটি সম্ভব না।
সত্যি কথা বলতে— এখন আমরা, বিরোধী দল ও মিডিয়া বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে আছি।

তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি-এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির সংলাপের আয়োজন করা উচিত বলে মনে করি। প্রয়োজনে তফসিল পেছানো উচিত। সংলাপের ফল ইতিবাচক না হলেও অন্তত দেশে রাজনৈতিক নরমগুলো বিদ্যমান থাকবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে কোনো লাভ হবে না। কারণ তার কোনো ক্ষমতা নেই। গ্রহণযোগ্যতা নেই। বর্তমানে দেশে রাজনীতিটাই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কোথায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, আর কোথায় সমাবেশ। এ জন্য বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের জেলখানায় নেওয়া হয়েছে। এটি তো হাস্যকর।

About Rasel Khalifa

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *