কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বেশ সরব হয়েছে রাজনৈতিক দল গুলো। শুধু তাই নয় নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা বিরাজ করছে। এদিকে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নতুন নির্বাচন কমিটি গঠনের জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছেন। আগামী সোমবার থেকে এ সংলাপ শুরু হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সংসদে প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সাথে প্রথম আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩১টি দলের সাথেই আলোচনা হবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংলাপ শেষ করার প্রস্তুতি রয়েছে। এ জন্য একদিনে একাধিক দলের সাথে বৈঠক হতে পারে এবং এটা নিয়ে কাজ করছে বঙ্গভবন।
তিনি বলেন, সংলাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাথে সংলাপ। এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর বাংলাদেশের সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবং জনগনের ভোটের মধ্যে দিয়ে দেশের সরকার গঠন হয়ে থাকে। দেশের এই নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে নির্বাচন কমিশন।