মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। মহাসচিবের পদ অতি সম্মানীয় একটি পদ। আর সেই সম্মানীয় পদকে আঁকড়ে ধরে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বিএনপির এই নেতা। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে আর সভ্য গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ দেশকে বর্বর, অসভ্য রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লা নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন এখানে ব্যর্থ হয়েছে। কুমিল্লার একজন সংসদ সদস্যকে বের করে আনতে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন। তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচন কী হবে? বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রথমে দেখিয়েছে তার ক্ষমতা নেই। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপিসহ কোনো রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনে যাবে না। বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের তাঁতিপাড়ার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থমন্ত্রী অনেক কিছু করছেন। যার সঙ্গে আইন, সংবিধান, নৈতিকতার কোনো যোগসূত্র নেই। তিনি সংসদে পাচারকৃত অর্থের বৈধতা দাবি করেন। তারা অর্থ পাচার করছে এবং তা ফিরিয়ে আনতে আইন করছে। আওয়ামী লীগ দেশের সব সম্পদ লুটপাট করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তথ্যমন্ত্রী আর আইন নেই। আইনে স্পষ্ট বলা আছে, নির্বাচনের দিন কোনো সংসদ সদস্য এলাকায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। মন্ত্রী এখানে যা করেছেন তার সঙ্গে আইন, সংবিধান, নীতি-নৈতিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। সব নির্বাচনেই তারা তাই করে আসছে। অর্থাৎ প্রভাব বিস্তার করা, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা। শুধু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নয়, সারাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা তারা এই সরকারের সম্পূর্ণ দখলে নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠানও তারা ধ্বংস করেছে। “এটি কেবল আমাদের সম্পর্কে নয়,” তিনি বলেছিলেন। কয়েকদিন আগে সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সেখানে সবাই বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার এখানে খুবই প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। ফলাফল যাই হোক, আমরা যাব না। সেই বিশ্বাস শুধু আমাদের নয়, দেশের মানুষের মধ্যেও জেগে উঠেছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারে না। নির্বাচনেও যেতে পারছেন না। নির্বাচনে না যেতে পারলে কী করবেন? এমনকি যদি তারা ভোট দিতে পারে তবে এটি তাদের জয়ী হবে। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যেখানে মানুষ এখন ভোট দিতে পারবে না। ভোট দিলেও এখন গণনার সময় ফল পাল্টে যায়।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন অতি সতর্কতা ও নিরুপনার সাথে ভোট সম্পর্কিত কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। এক্ষেত্রে তার দায়িত্ব অনেক। সবাই নির্বাচন কমিশনের উপর অনেক আস্থা রাখে। সবার বিশ্বাস নির্বাচন কমিশন যাই করুক না কেনো তিনি নিরপেক্ষ থেকে ভোটের কাজ সম্প্ন করবেন।