ত্রুটিপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে উগান্ডায় টার্গেটেড ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে, তিনি বলেছেন, উগান্ডায় ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য জড়িত বলে মনে করা যেসব ব্যক্তিদের তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি ঘোষণা করা।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়কালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওই সময় আমি উগান্ডা সরকারের প্রতি অনুরোধ করেছিলাম এসব ক্ষেত্রে তাদের রেকর্ডের উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনি প্রক্রিয়া, সহিংসতা ও ভীতিপ্রদর্শনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে।”
এতে তিনি আরও বলেন, এখন আমি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতির আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি। উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করার জন্য দায়ী অথবা জড়িত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এবং অন্যরা এর আওতায় আসবেন। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য হবে যারা প্রান্তিক বা ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যাকে নিপীড়ন করে এমন নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে পরিবেশ কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের ব্যক্তি এবং সুশীল সমাজ সংস্থাগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদের পরিবারও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।
বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উগান্ডার জনগণের পাশে দাঁড়াবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, মানবাধিকার, জনস্বাস্থ্য এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধির অগ্রগতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও উগান্ডা সরকারকে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য উৎসাহিত করেছেন। দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের অংশীদারিত্ব বজায় রাখা এবং মার্কিন ও উগান্ডার নাগরিকদের উপকার করা তাদের কাজ বলে দাবি করেছেন তিনি ।