বিএনপির ৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে দলটি। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। হেলাল উদ্দিনকে দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউল কাদের জিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব গাজী ফোরকান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ড. ইসমাইল ও মোঃ হাসানকে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল স্তর থেকে বহিষ্কার করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সেই নেতারা এখন থেকে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে সক্রিয় হবেন বলে আশা করছে বিএনপি।
এছাড়া শেরপুর জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এমদাদুল হক মাস্টারকে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার বলেছেন, আজ এই বিভক্ত আওয়ামী লীগ কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশের জনমতকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। এটা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য বড় লজ্জা। কিন্তু দেশের মানুষ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব জেনে গেছে শেখ হাসিনা প্রহসনের নির্বাচন করছেন। যেটা ইতোমধ্যেই ডামি নির্বাচন হিসেবে উপাধি পেয়েছে।
জনগণ ও দেশপ্রেমিক ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। অন্যকেও যেতে না বলুন। আপনারা এই নির্বাচন বয়কট করুন। অসহযোগ আন্দোলন এই সরকারের পতন ঘটাবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাবে।