ঢাকা সফররত ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি) প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা ড. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. ইনাম আহমেদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. শাম্মী আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, ইউএসআইপি প্রতিনিধি দলে ছিলেন- জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, ড্যান মার্কি এবং ইশা গুপ্তা।
ইউএসআইপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ড. শাম্মী আহমদ বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তারা কোনো প্রশ্ন করেনি, আমরা কোনো উত্তর দেইনি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাচ্ছে- এসব বিষয়ে বাংলাদেশের কী ভূমিকা, আওয়ামী লীগ কী চিন্তা করছে, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ডাঃ শাম্মী বলেন, তারা জানতে চেয়েছেন- ভারত ও চীনসহ এই উপমহাদেশে যেসব দেশ আছে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন? আমরা আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, আমাদের জাতির পিতা যেটা দিয়ে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব- কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এটাই ফোকাস করা হয়েছে। চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক জানতে চেয়েছেন তারা এবং নিজেরাই স্বীকার করেছে যে চীন একটি অর্থনৈতিক শক্তি সমৃদ্ধ দেশ। চীন আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদার। তারা জানতে চায় ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন। আমরা বললাম, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ১৯৭১ সালে আমাদের কঠিন সময়ে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমরা সেটাকে যথার্থ সম্মান করি।
তিনি বলেন, মিয়ানমার ১০ লাখের বেশি রোহি”ঙ্গাকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। তারপরও আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। শুধু আমাদের প্রতিবেশী দেশ নয়, গ্লোবাল ভিলেজে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। আমরা এটা অন্য কোনো উপায় না. আমরা পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করি। এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। তাদের আগ্রহ ছিল ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে, ছিল ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়, একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনার বিষয় ছিল।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদ জাগরণ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিলাম- আমরা কারো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা কারো অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলি না। আমরা অন্যান্য দেশের মতবাদকে সম্মান করি। ভারতে কী হচ্ছে, চীনে কী হচ্ছে, সেটা তাদের দেশের মানুষের ব্যাপার। আমাদের দেখার বিষয় সেটা নয়।