আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বা গুরুত্বারোপ কেমন, সে বিষয়ে অনেকের নিকট কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনের প্রেক্ষাপট বিষয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। তিনি সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের পক্ষে মন্তব্য করেছেন সরাসরি। এবার বাংলাদেশে নির্বাচন বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যান।
বাংলাদেশের মানবাধিকার জোরদার এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যানের সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. শাহরিয়ার আলম বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বারোপের কথা জানান।
গত সপ্তাহে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে দায়িত্ব পালনকালে একজন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর প্রয়ানের ঘটনায় ওয়েন্ডি শারম্যান বাংলাদেশের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, এমনটাই জানিয়েছেন একজন মুখপাত্র।
তিনি রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ওয়েন্ডি শারম্যান এবং মোঃ শাহরিয়ার আলম ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তবে এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি বিদেশিদের নজরদারি এবং গুরুত্ব কতটুকু থাকবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনে বৈদেশিক গুরুত্বারোপ আগের তুলনায় বেশি থাকবে এবং দেশগুলো যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে সরকারের সাথে বৈঠক করতে পারে।