পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে আল্লাহর হুকুমে, কারণ সবকিছুই হচ্ছে তাঁর হুকুমে। আতাবুল্লাহর বেঞ্চে এ মন্তব্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো.
আদালত বলেছে যে সংসদ নির্বাচনের সময় সংক্রান্ত বিষয়গুলি ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট নিষ্পত্তি করেছে।
রিটের আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের আরও পাঁচ মাস সময় ছিল। তড়িঘড়ি করে নির্বাচন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অনেক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এখানে দুটি জিনিস. একটি মেয়াদের আগে এবং অন্যটি মেয়াদের পরে। নির্বাচন দুইভাবে হতে পারে।
আদালত বলেছে যে, পরেরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হয়েছে। এ সময় ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সবকিছুই আল্লাহর কাজ, আল্লাহর হুকুম ছাড়া কিছুই হয় না। এরপর আদালত বলেন, পাঁচ মাস আগে যা হচ্ছে, তাও আল্লাহর হুকুমে হচ্ছে।
হাইকোর্ট বলেছেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে তাদের সুবিধামত নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। এবং সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় 2018 সালে নির্বাচন নিষ্পত্তি হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ। আর এ বিষয়ে কোনো নিয়ম থাকলে তা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তফসিল স্থগিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আদেশ চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সংসদ সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে যুক্তি হিসেবে বলা হয়, একাদশ সংসদ এখনো বহাল রয়েছে। আর সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অসাংবিধানিক। কারণ ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হলে দুটি সংসদ হবে।
মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী। এছাড়া প্রধান বিরোধী দল না আসায় এবং সারাদেশে হরতাল-অবরোধ চলছে বলে এ অবস্থায় নির্বাচন করা যাবে না বলে মনে করেন আবেদনকারীর আইনজীবী।