বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে নির্বাচনী মাঠ থেকে বিরোধী দলকে খালি করা হয়েছে। মাঠে শুধু নিজেরা নিজেরা। জনগণ সরকারের সব নীলনকশার ধরে ফেলেছে। মানুষ জেগে উঠেছে, রাস্তায় নেমেছে।
দেশের জনগণ সরকারের ভাগাভাগি নির্বাচন রুখে দেবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে ঝাটিকা মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একবার ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং অফিসার বাতিল করলেও আপিলের পর বাতিল হওয়া সব মনোনয়নপত্র বৈধ দেখানো হয়। উদ্দেশ্য কি? অনেক প্রার্থী… সরকার ও তার কথিত নির্বাচন কমিশন ডামি-স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে ‘আমরা আর মামুদের’ নির্বাচনী খেলা খেলছে।
এটা করে কোনো লাভ হবে না।
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে সরকার ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসিয়েছে। দিনরাত অনুপস্থিতির মামলার বিচার চলছে। পুলিশ গায়েবি মামলা দিচ্ছে, পুলিশ সাক্ষীও দিচ্ছে।
কিছু পক্ষপাতদুষ্ট বিচারক আইনের তোয়াক্কা না করে প্রহসনের বিচারের নামে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে হুট করে রায় দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই যে এই অবৈধ সরকারকে আনুষ্ঠানিক রায়ের এই বাক্য দিয়ে রক্ষা করা যাবে না, এই ফ্যা/সিবাদী সরকার পাস করবে না।
সকাল ৭টায় ঢাকা মহানগর যুবদল ও ছাত্রদলের ২০ থেকে ২৫ নেতাকর্মী রিজভীর নেতৃত্বে ‘ঝাটিকা’ মিছিল বের করে। মিছিলটি বাংলামোটর মোড় থেকে একটু এগিয়ে গেলে রিজভী আত্মগোপনে চলে যান।
মুন্সীগঞ্জ বিএনপি নেতা খোন্দকার আকবর হোসেন, ড্যাবের শরিফুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা তারেকুজ্জামান তারেক, জাকির হোসেন, যুবদলের মাসুদ খান পারভেজ, কামরুজ্জামান জুয়েল, মেহবুব মাসুদ শান্ত, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নাদিয়া পাঠান পাপন, নিলুফার ইয়াসমিন মিজানুর রহমান ও যুবদলের নেতা মো. রফিজুল হাই। রফিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিএনপির ডাকা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির একাদশ ধাপ শুরু হয়েছে। চলবে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সরকারের পদত্যাগ ও একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে গত রোববার এই অবরোধ ডেকেছে বিএনপি।