গতকাল রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে দিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের অপ্রত্যাশিত ঘটনার শিকার হয়েছেন জাতীয় পার্টির অন্যতম নেত্রী আসমা আশরাফ। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক লাইভ এসে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেন তিনি নিজেই। এমনকি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাহায্যও চান তিনি।
জানা যায়, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আসমা আশরাফের মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার নির্বাচন অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মনোনয়নপত্র চুরি হওয়ার পর জাপা নেত্রী আসমা আশরাফ ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন।
পরে নির্বাচন অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র লুটপাটের ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসমা আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন ছিনতাই করেছেন। বেলা ৩টার দিকে তিনি নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সাংবাদিকদের ও ফেসবুক লাইভে গিয়ে ঘটনাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানান।
আসমা আশরাফ আরও বলেন, জেলা প্রশাসক তাকে বলেছেন তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। এদিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, আসমা আশরাফ তার মোবাইল ফোনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি তাকে জানান।
এদিকে জাপা নেত্রী আসমা আশরাফের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এমন ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাপা ও বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।