নির্বাচনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা। নির্বাচনে জিতে কেউ কেউ করছে জনগণের জন্য উন্নয়নমুলক কাজ আবার কেউবা নির্বাচনে হেরে বিক্ষুব্ধ হচ্ছে জনগণের উপর। হেরে যাওয়া প্রার্থীদের কিছু কিছু কাজ খুবই হাস্যকর পরিবেশ তৈরি করছে। সম্প্রতি একজন বগুড়ায় মেম্বার প্রার্থী নির্বাচনে হেরে সরকারি রাস্তার উপর ঘর নির্মান করেছে যাতে জনগণ চলাচল না করতে পারে।
গত ১১ নভেন্বর দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে জিততে না পেরে এই কাণ্ড করেন তিনি।
অভিযুক্ত এনামুল হক রানা এর আগে খামারকান্দি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
জানা গেছে, এনামুল হক রানা গত ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ইউপি নির্বাচনে শেরপুর উপজেলার ৩নং খামারকান্দি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু ভোটে তিনি হেরে যান।
এর পর ক্ষোভে রানা তার বাড়ির পাশের সরকারি রাস্তার মাঝে ঘর নির্মাণ করে মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন।
ঘর নির্মাণের জায়গাটি খামারকান্দি মৌজার মালিকানা রেকর্ড শর্তে বগুড়া জেলা প্রশাসকের নামে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। এ বিষয়ে গ্রামবাসী বগুড়া জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মাগুড়ার তাইর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুস সালাম, গোলাম হোসেন, রুবেল হোসেন, রিপন মিয়া, আব্দুল হামিদ, আব্দুর রউফ, আব্দুল হাকিম, ফিরোজ মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম গত ২১ নভেম্বর এই অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া অভিযোগের অনুলিপি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য রানা জানান, আমাকে ভোট না দেওয়ার কারণে আমি রাস্তা বন্ধ করেছি। আমি সরকারি দলের নেতা। দলীয়ভাবে ওই রাস্তাটি আমি মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করেছি। তার পরও আমাকে কেন ভোট দেয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ময়নুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনে হেরে এমন ঘটনা আসলেই বিরল। এমন কাজ যে কেউ করতে পারে তা আসলে এনামুল হক রানাকে না দেখলে বোঝা যেত না। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। পরবর্তিতে প্রশাসন কোনো ব্যাবস্থা নিবে কিনা সেটাও এখন বলা যাচ্ছে না। তবে ব্যাবস্থা নিলে সেটাও জানা যাবে।