Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী,জানালেন একেকটি ভোটার জন্য কত টাকা দিয়েছিলেন,ভিডিও সাড়া ফেললো অনলাইনে

নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী,জানালেন একেকটি ভোটার জন্য কত টাকা দিয়েছিলেন,ভিডিও সাড়া ফেললো অনলাইনে

চলছে উপজেলা ভোট। আর এই কারনে সারাদ দেশ থেকে এই ভোট নিয়ে শোনা যাচ্ছে নানা ধরনের সব ঘটনা।তবে এর মধ্যে সব থেকে হাস্যকর একটি ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত বাউফল-দশমিনা উপজেলা নারী সদস্য পদে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী মোসা. রুবিনা আক্তার। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে বাউফল উপজেলার বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টাকা চাওয়ার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুহূর্তে ভাইরাল হয়।

জানা গেছে,গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনা কলম প্রতীকে কামরুন নাহার, হরিণ প্রতীকে পশারী রানী, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মিসেস ফাতেমা আলম ও ফুটবল প্রতীকে মো. রুবিনা আক্তার নির্বাচনে অংশ নেন। কামরুন নাহার দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। হরিণ প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পশারী রানী পেয়েছেন ১২০ ভোট। অন্যদিকে ফুটবল প্রতীকে রুবিনা আক্তার পেয়েছেন ৩৬ ভোট। টেবিল ঘড়ি প্রতীকের অপর প্রার্থী মিসেস ফাতেমা আলম শূন্য ভোট পেয়েছেন।

ভিডিওতে রুবিনা আক্তার বলেন, আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভোটারদের ২ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় তারা আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাদের অনেকেই আমাকে ভোট দেয়নি। যারা ভোট দেয়নি তাদের অনেকেই। আমি তাদের টাকা ফেরত দিয়েছি। তারা বলল, তুমি মন খারাপ করো না, আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি। কিন্তু এই সদস্য (ইউপি সদস্য) আমাকে টাকা ফেরত দিতে দিচ্ছেন না, বরং আমাকে অপমান করছেন।’

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ওই মেম্বারকে দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পরিষদ নির্বাচনের এক ভোটার বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এই প্রার্থী দিয়েছেন দুই হাজার টাকা। তিনি কীভাবে ভোট পান!’

তবে রুবিনা আক্তারের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ দিকে এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে সবখানে ওঠে নানা ধরনের সমালোচনা। আর এ নিয়ে এখন টনক নড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমিন বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন অবৈধ। এ বিষয়ে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

About Rasel Khalifa

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *