বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগকে গদি থেকে নামাতে ব্যাপক চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি ও দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। এদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাসনকে সামনে রেখে সকল রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও এবার সাফ জানিয়ে দিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এরই মধ্যে কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও আমরা সেখানেও যাইনি। নির্বাচনে না যাওয়া একটি অপ্রতিরোধ্য সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বেঁচে থাকা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। শিক্ষার খরচ বেড়েছে। স্বাস্থ্য খাতে প্রতিটি উপাদানের দামও বেড়েছে। মানুষ হাসপাতালে গিয়েও সঠিক চিকিৎসা পায় না। কয়েক দিনে প্রায় ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ বেড়েছে। সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। একজন শিক্ষক যদি 12 লাখ টাকায় চাকরি নেন তাহলে সেই শিক্ষক সমাজকে কী শিক্ষা দেবেন? একটি দেশে গণতন্ত্র থাকে না যখন একটি সরকার জনসমর্থন হারায় এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য এবং নির্বাচন করার জন্য রাষ্ট্রীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে।
তিনি আরও বলেন, আজ বিভিন্ন শ্রেণির সুবিধাবাদীরা সুবিধা পেয়ে জমি, বাড়ি-গাড়ি তৈরি করছে । এসব দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খুশি রাখতে দেখা গেছে। এ ছাড়া তাদের বাড়ি, গাড়ি, টাকা ও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তখন এই শ্রেণির মানুষ সেখান থেকে নড়তে চায় না। তারা তখন মনে করে এই ধরনের সরকার ভালো। কিন্তু এখান থেকে বেরোতে হবে।
তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা এবং তার দলের অনেক নেতা কর্মী। এদিকে বিএনপি সাম্প্রতিক সময়ে দাবি করেছে ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামীলীগ এখন বিদেশে ছোটাছুটি করছে। তবে ইটা বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। তাদের কৌশল বাস্তবায়ণ করতে দেয়া যাবে না।