মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের ৭ তারিখে মূলধারার এবং স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যাতে বাংলাদেশি আমেরিকানরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। বাংলাদেশি-আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে জয়ী হয়েছেন, আরেক জন হলেন বাংলাদেশি-আমেরিকান ডঃ নীনা আহমেদ। নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে আবারও জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ। মেলবোর্ন সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান ও সালাহউদ্দিন মিয়া।
এছাড়া হাডসন সিটি কাউন্সিলে আবারও জিতেছেন ৪ বাংলাদেশি-আমেরিকান। তারা হলেন, কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারোয়ার ও রনি ইসলাম এবং ওয়ার্ড সুপারভাইজার আবদুস মিয়া। একই সঙ্গে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটিতে টানা চতুর্থবারের মতো কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ কামরুল হাসান, প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশি-আমেরিকান সিটি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মুহতাসিন রহমান সাদমান। বর্তমানে হ্যামট্রমিক সিটিতে নির্বাচিত আরো ২ জন বাংলাদেশি কাউন্সিলর রয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মিশিগানের হ্যামট্রামিক সিটিতে মেয়র সহ সকল কাউন্সিলর মুসলিম যেটি বিরল ঘটনা।
বিজয়ীরা সবাই ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী। নোয়াখালী জেলা সদরের ছেলে সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা ৪ জন। নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের আবুল খান একই মর্যাদায় চার মেয়াদে রাজ্য প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান। অন্য সিনেটররা হলেন- শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান ও নাবিলা ইসলাম।
এছাড়াও, শাহানা হানিফ নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী এবং প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে কাউন্সিলওম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র ড. নীনা আহমেদ ফিলাডেলফিয়া সিটি কাউন্সিল ওমেন অ্যাট লার্জ হিসেবে তৃণমূলের ভোটে জয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ডঃ নীনা আহমেদ এর আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির টিকিটে পেনসিলভানিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু পরাজিত হন, কিন্তু এবার তিনি সিটি মেয়রের আসনে জয়ী হন। ডাঃ নীনা শহরের প্রথম দক্ষিণ এশীয় কাউন্সিলওম্যান এবং প্রথম মুসলিম মহিলা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিদের এই জয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আনন্দ বিরাজ করছে।