Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচনে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে নতুন তথ্য দিলেন তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে নতুন তথ্য দিলেন তথ্যমন্ত্রী

গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ভোটে কেন্দ্র অবৈধ্য ভাবে ভোট দেওয়া চিত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষনিক ভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেই (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা ভোট ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রের বাহিরে চলে যাওয়ায় ভোট বন্ধের ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন হাতে সম্পর্ন ক্ষমতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। গাইবান্ধা নির্বাচন বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার প্রয়োজন নেই বাংলাদেশে মন্তব্য করে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করে সংবাদ তত্ত্বাবধায়ক তথ্য জনগণের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী যুগ্ম সাধারণ দল ড. হাসান মাহমুদ।

তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে, সকল ক্ষমতা তাদের হাতে, তারা সিদ্ধান্তই সবার ‍উপরে। বিএনপিসহ যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছেন, তাদের কোন যৌক্তিকতা নেই, নির্বাচন বন্ধ করায় তার প্রমাণ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অনিয়মের কারণে গাইবান্ধার নির্বাচন বাতিল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে যে, নির্বাচন সবসময় কমিশনের অধীনেই হয়। সেখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। সরকার শুধু সুবিধাদাতার ভূমিকা পালন করে।

ভোট বন্ধ করায় ‘মানুষ হতবাক’ উল্লেখ করে ড. হাসান বলেন, সাধারণ মানুষ, সেখানকার ভোটার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন টকশো দেখে মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ এই সিদ্ধান্তে হতবাক।

এ মন্তব্যের পেছনে যুক্তি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় কোথাও কোনো বিভ্রান্তি নেই। কোন অভিযোগ নাই. পোলিং বা প্রিসাইডিং অফিসারের কোনো অভিযোগ ছিল না। কোনো স/হিংসতা ছিল না। নির্বাচন কমিশন ৫০০ কিলোমিটার দূরে বসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

মন্ত্রী বলেন, এখন ইসির ওই সিসি ক্যামেরার রেজুলেশন, ইন্টারনেট কানেকটিভিটি কীভাবে হলো সেটাই বড় প্রশ্ন। গাইবান্ধার দূর্গম অজপাড়াগাঁয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা কতটা রেজুলেশন দিল…’এটা বড় প্রশ্ন’।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের লিখিত প্রতিবেদন আমার কাছে আছে। যে ৯৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় সেগুলো অনিয়মমুক্ত ছিল এবং রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এই সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। এটা আমি বলছি না, জনগণ ও বুদ্ধিজীবীরা বলছেন। আমাদের দলীয় প্রার্থী ভোট বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, আমাদের প্রার্থী যা বলেছেন তাতে বিতর্কিত ৫৩টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হতে পারে। বাকিগুলো বাতিল কেন? তার প্রশ্ন অযৌক্তিক?

সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার গত ২৩ জুলাই ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃ/ত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। বুধবার ওই শূন্য আসনে ভোটগ্রহণ উপনির্বাচনে নানা অনিয়মের কারণে একে একে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ওই দিন দুপুরে ভোটগ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন আর সম্ভব নয়। তাই ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। আরপিওর ৯১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে কমিশন।

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচন ভবনে বসে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ভোটে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে অনিয়মের চিত্র দেখে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাখা করেন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *