এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র। সেই সাথে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যা্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন নির্বাচনে না এসে অরাজকতা করলে গণধোলাই দেওয়া হবে।
নির্বাচনে নৈরাজ্য হলে নৈরাজ্য হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কায়সার রহমান চৌধুরী মিলনায়ণে আয়োজিত শোকসভায় বিএনপির উদ্দেশ্যে লিটন এ ঘোষণা দেন। মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মেয়র লিটন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যত অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
বৈঠকে মেয়র লিটন বলেন, বিএনপি ও তাদের মিত্ররা বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের দল স্পষ্টভাবে বলেছে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থাকায় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে এবং নির্বাচনের পর নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন, তখন আমরা তাকে সময় দেইনি। বঙ্গবন্ধু চারটি পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউর রহমানকে মেজর থেকে মেজর জেনারেলে পদোন্নতি দিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে নির্বিঘ্নে প্রাণনাশ করার জন্য পর্দার আড়ালে কাজ শুরু করেন। এই প্রেক্ষাপট তৈরির জন্য ষ/ড়যন্ত্রকারীরা একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে অস্ত্র, অর্থ ও বিদেশী মদদ দিয়ে নানাভাবে প্রস্তুত করে। বঙ্গবন্ধুকে প্রাণনাশের প্রেক্ষাপট তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিল আরেক দল তৎকালীন জাসদ।
সভায় প্রধান বক্তা এস এম কামাল বলেন, বিএনপি একটি ভুয়া সংগঠন। মিথ্যার রাজনীতি দিয়ে বিএনপির যাত্রা শুরু হয়েছে। তারা অপপ্রচারের রাজনীতিতে লিপ্ত। তারা জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে না। এভাবে তারা রাজনৈতিক ফায়দা চুরি করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ও জনগণের সেবায় কখনো পিছপা হবে না। বাংলাদেশ ও বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব অর্জনই এই সংগঠন করেছে। আজকের বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে উন্নয়নের রোল মডেল।
আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডি.বি. সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে নারাজ বলে জানিয়েছে। তাদের দাবি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে আর তানঘলে তারা নির্বাচনে আসবে না। তবে নির্বাচনে না এসে অরাজকতা সৃষ্টি করলে গণধোলাই দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র লিটন।