দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ডাব প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামানত হারিয়েছেন। বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীকে লড়ছেন হিরো আলম। এর আগে তিনি নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, জামানত রাখার জন্য একজন প্রার্থীকে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) কমপক্ষে এক-অষ্টমাংশের বেশি ভোট দিতে হবে। তবে এবারের নির্বাচনে হিরো আলম পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৫ ভোট।
বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। মোট প্রদত্ত ভোট ৯৬ হাজার ৬০৮। বৈধ ভোট গণনা হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৪৯টি। এবারের নির্বাচনে একজন প্রার্থীকে নিরাপত্তার জন্য ১২ হাজার ৭৬ ভোট পেতে হবে।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, জামানত রক্ষায় একজন প্রার্থীকে কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে। এই সংখ্যার কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লা পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট।
বগুড়া ৪ আসনে প্রার্থীসহ ৬ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বগুড়া-৪ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। মোট ১১৪টি কেন্দ্র রয়েছে।
চলতি বছরের বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু দুটি আসনেই তিনি হেরে যান। পরে গত বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। জামানত হারান।
এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হিরো আলম। যদিও পরে তিনি ‘অনিয়মের অভিযোগ’ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম ছোটবেলায় চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি ও ডিশ সংযোগের ব্যবসায় নামেন। নিজে মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় পাঁচ শতাধিক মিউজিক ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।