১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেসব দল বা ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে পরিকল্পিতভাবে ভোট চুরি হয়েছে; কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। তাই দলীয় সরকার ও অধীনস্থ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই।
শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
‘নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও একদলীয় দাবি’ শীর্ষক বৈঠকের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। জোটের শরিক দল বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, বৈঠক শুরুর আগে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাকে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। দুপুরে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মো. পুলিশ এখনও তার গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেনি। এ সময় তিনি হুদার মুক্তি দাবি করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও মহাজোটের নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের নেতা ড. এই কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি আওয়ামী লীগের কাছে সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণের দাবি জানান।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, “একজন স্বৈরশাসককে বিশ্বাস করা ভুল ছিল। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ হয়েছিল সুকৌশলে। এই সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। যত বাধাই আসুক না কেন কর্মসূচি। সরকার ও আওয়ামী লীগের আমলারা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বৈঠকে অংশ নিয়ে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর ওপর ক্ষমতাসীনদের দমন-পীড়ন তাদের রাজনৈতিক পরাজয় প্রমাণ করেছে। আওয়ামী লীগের নৈতিক মৃত্যু ঘটেছে।
বাংলাদেশ এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মাই বাংলাদেশ পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, পাবলিক রাইটস কাউন্সিল (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির (একাংশ) লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জাগপা) মহাসচিব মো. ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা শওকত আমিন প্রমুখ।