আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সুশীল সমাজের সাথে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। এসব আলোচনা শেষে নির্বাচন পদ্ধিতে ১৫০টি আসনে ইমিএমের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে নির্বাচন কমিশন। তবে রাজনৈতিক দলগুলো ইমিএমের বিপক্ষে মত দিলেও তাদের অপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নেই নির্বাচন কমিশন।ইভিএমকে নিখুঁত প্রমাণ করার দায়িত্ব ইসির মন্তব্য করে (সুজন) সুশাসনের জন্য নাগরিক পক্ষ থেকে যা হল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দিয়ে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন’-এর পক্ষে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান ইভিএম দিয়ে যে প্রশ্নাতীতভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে তা প্রমাণের দায়িত্ব বা ‘বার্ডেন অব প্রুফ’ কমিশনের, অন্য কারো নয়। আর যেহেতু অন্য কারো কাছে ইভিএম এবং এর সোর্সকোড নেই, তাই তাদের পক্ষে ইভিএম দিয়ে কারচুপির প্রমাণ উত্থাপন করাও অসম্ভব।
গত ২৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন বলেন, বর্তমান ইভিএম প্রযুক্তিগত দিক থেকে খুবই দুর্বল মেশিন। এই যন্ত্রটি দিয়ে নির্বাচনী কারচুপি সম্ভব।
সুজনের এই বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারচুপির কথা যিনি বলছেন তাঁকে প্রমাণ দিতে হবে। তিনি প্রমাণ দিতে পারলে ইভিএম বাতিল করে দেব। আরেক নির্বাচন কমিশনারও সুজনকে নির্বাচন কমিশনে এসে ইভিএমে কারচুপি হতে পারে এমন প্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানান।
রোববার সুজনের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান ও সচিব বদিউল আলম মজুমদার সিইসিকে চিঠি দেন।
এতে বলা হয়েছে, ‘আপনার সহকর্মী নির্বাচন কমিশনে এসে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আমাদের ডেকেছেন। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।তবে এটি অপ্রয়োজনীয়, কারণ আমরা সংবাদমাধ্যমে লিখিতভাবে যা উত্থাপন করেছি, তার বাইরে আমাদের তেমন কিছু বলার নেই।
সুজন আরো বলেছে, নির্বাচন কমিশনারের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমরা যে কথা বলিনি তা চ্যালেঞ্জ করে ‘ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধে’র অবতারণা এবং একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ইভিএমের বিষয়টি নিয়ে সম্পর্ন কাজ করে নির্বাচন কমিশন এবং মেশিনটি তাদের কাছে ছাড়া নেই সুতারাং তাদেরকে সবকিছু প্রমান করা উচিত বলে জানান (সুজন) প্রতিনিধিরা। ইভিএমের বিষয় নিয়ে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন ইসি সেটির বিষয়ে যু্ক্তিকতা তুলে ধরছে (সুজন) সুশাসনের জন্য নাগরিক।