দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর এক বছর বাকি। সেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন চায় আগামী নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ১০টি আঙুলের ছাপ থাকুক। আগামী জানুয়ারি থেকে ১০টি আঙুলের ছাপ দেওয়া হয়নি এমন ভোটারদের আঙুলের ছাপ নেবে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এনআইডির মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবির নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আঙুলের ছাপ হালনাগাদ করা হবে। যারা এখনও ১০টি আঙুলের ছাপ দেননি তাদের আগামী জানুয়ারি থেকে আঙুলের ছাপ সহ NID আপডেট করতে হবে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। রোডম্যাপে প্রায় অর্ধেক নির্বাচনী এলাকায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনার পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। সে ক্ষেত্রে আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে বা ২০১৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বা পরবর্তীতে ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের তফসিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে।
ইভিএমের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে ইসি দাবি করেছে যে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সহ ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় জাল ভোট অর্থাৎ একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই। একই ইভিএম বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে ব্যবহৃত হওয়ায় বিধায় প্রোগ্রামের জালিয়াতি করা সম্ভব নয়। ওয়ান টাইম চিপস ব্যবহার ও এমবেডেড পার্টস থাকায় একইসঙ্গে একজন ভোটার একাধিক ভোটও দিতে পারে না। বিল্ট ইন ঘড়ির কারণে নির্বাচনের সময় শুরুর আগেও ভোট দেওয়া যায় না, একইভাবে প্রিজাইডিং অফিসার স্টপ বোতাম চাপলে পরে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
ভোট গণনার সময় এই ডিভাইসটি খুবই কার্যকর। একটি বোতাম চাপলে ফলাফল পাওয়া যায়। ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের আগে ও পরে কেন্দ্র দখল এবং বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব হলেও ইভিএমে এ ধরনের অন্যায়ের সুযোগ নেই।
এ সময় ইভিএমের সুফল দাবি করা হয়, ভোটাররা সফলভাবে ইভিএমে ভোট দিতে পারছেন। ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে সমস্যা থাকলেও ভোট দিতে তাদের কোনো সমস্যা নেই। ইসির দাবি, ইভিএমে ভোট সুষ্ঠু ও নির্ভুল এবং কারচুপির সুযোগ নেই।
ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া ২৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৭টি রাজনৈতিক দল ইভিএমের পক্ষে মতামত দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ১২টি দল।